স্টাফ রিপোর্টার ঃ “কৃষিই সমৃদ্ধি” এ প্রতিপাদ্য বিষয় সামনে রেখে বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট (বিনা) কতৃর্ক আয়োজিত বিনা প্রযুক্তি পরিচিতি শীর্ষক প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৯ ডিসেম্বর শনিবার সকালে নগরীর ড.এম.এ ওয়াজেদ মিয়া অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বিনা‘র মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিনা‘র বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। এ সময়ে বক্তব্য রাখেন বিনা গবেষনা পরিচালক ড. হোসনেয়ারা বেগম, বিনা‘র প্রশিক্ষন ও পরিকল্পনা পরিচালক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,প্রশাসন ও সার্পোট সার্ভিস পরিচালক ড.মোঃ আবুল কালাম আজাদ,ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক অমিত রায় প্রমূখ।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, বিনা শুধু বাংলাদেশের নয় বিনা আর্ন্তজাতিক প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের খাদ্য সংকট মোকাবেলায় ফসলের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করে যাচ্ছে বিনা। কৃষি মন্ত্রনালয়ের ১৭/১৮টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে বিনা অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্থান করে নিয়েছে। ১৮টি ফসলের ১১২টি জাত বিনা উদ্ভাবন করেছে। ২০৩০ সালে মধ্যে ফসলের চাষ দ্বিগুন করা এবং ধানের মধ্যে জিংক ও ভিটামিন কি করে ঢুকানো যায় সেই দিকে খেয়াল রেখে বিনা‘র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিরোসলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মাটি ছাড়া কিভাবে চাষাবাদ করা যায় সেই বিষয়ে ও কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
প্রশাসন ও সার্পোট সার্ভিস পরিচালক ড.মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মানে বিনা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুব রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য বিনা সর্বোত্তক উৎপাদনের ভুমিকায় কাজ করছে। ২০৫০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে প্রায় ২৫ কোটি, বিশাল এ জনসংখ্যার চাহিদা মিটানোর জন্য প্রায় ৩ কোটি ৬৫ লক্ষ টন খাদ্যের প্রয়োজন হবে। বর্তমানে প্রায় ৩ কোটি ৮০লক্ষটন খাদ্য উৎপাদিত হচ্ছে। কিভাবে অল্প জমিতে বেশি পরিমান ফসল উৎপাদন করা যায় সেই লক্ষ্যেই বিনা কাজ করছে। কোন জমি যেন অলসভাবে রেখে না দেওয়া হয়। প্রতি ইঞ্চি জমি আমাদের চাষাবাদের আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছেন আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি। কিন্তু কৃষকের কাছে আমাদের উদ্ভাবিত জাত পৌছানো যাচ্ছে না সহজে। সেই ক্ষেত্রে মিডিয়ার কর্মীদের কাছে সহযোগিতার আহবান জানান তিনি। ময়মনসিংহে কর্মরত সকল ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ | ডিসেম্বর ১৯, ২০২০